সেক্টর কি ঘুরে দাড়াচ্ছে?
গত দেড় বছরের করোনা এবং তার আগে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতার কারনে গত কয়েকবছর লেদার সেক্টর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখাতে পারে নাই। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে অন্যান্য রপ্তানীমূখি শিল্পের মতো লেদার সেক্টরও ভালো ফল করছে। রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যানুসারে এ অর্থবছরের জানুরায়ী পর্যন্ত এই সেক্টর গত অর্থবছরের তুলনায় ২৯% এবং লক্ষ্যের তুলনায় ১১% বেশি পণ্য রপ্তানী করেছে। আশার কথা হলো, চামড়া রপ্তানীও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে যা গত কয়েকছর ধুকছিল। এর পাশাপাশি বর্তমানে জুতা শিল্পে অনেক দেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পের অনেকে জুতা শিপ্লে বিনিয়োগ শুরু করছে বা পরিকল্পনা করছে। চট্টগ্রামের মাফ স্যুজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ১১১৮ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ২০২২ সালে তাদের ১৭ বিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ পরিকল্পনার ৩৫০ মিলিয়ন টাকা জুতা শিল্পে বরাদ্দ করেছে। এসব কিছুই চামড়া ও জুতা শিল্প ঘুরে দাড়ানোর লক্ষন হিসেবে অনেকে মনে করছে।
আমরা কি এই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারব?
এটা সত্য যে প্রায়ই আমরা বিভিন্ন উপলক্ষে সেক্টরের ঘুরে দাড়ানোর আশা করি। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারির সাভারের স্থানান্তরের সময়ও আমরা মনে করেছিলাম যে আমাদের চামড়া শিপ্লের সুদিন ফিরে আসবে কিন্তু আমরা এর স্থানান্তরের সুবিধা পেলাম না। এর কারন আমরা সবাই জানি কিন্তু তা সমধানে আমাদের দীর্ঘসুত্রতা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছনোর বাঁধা হয়ে আছে। জুতা শিল্পেও আজকে বিনিয়োগের যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তাও ভন্ডুল হতে পারে যদি আমরা এই নতুন বিনিয়োগকারীদের সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে না পারি। গত কয়েকবছরে আমাদের যে গুটিকয়েক ফ্যাক্টরিতে বিনিয়োগ হয়েছে, বিশেষ করে নতুন যারা বিনিয়োগ করছে তাদের বেশিরভাগই তাদের কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করতে অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে হয়। আমরা এরকম অবস্থার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা এই মোমেন্টাম ধরে রাখতে চাই। এই সেক্টরের সাথে জড়িত সকলের যারযার অবস্থান থেকে সঠিক কাজ করে যাওয়ার মাধ্যমেই সেটা ধরে রাখা সম্ভব।