যোগাযোগ দক্ষতা (Communication Skills)
যেকোন পেশায়, যেকোন অবস্থানে যোগাযোগ দক্ষতা প্রয়োজন। যোগাযোগ দক্ষতা বলতে আমরা অনেক সময় কেবলমাত্র কিভাবে অন্যের সাথে যোগাযোগ করি তা বুঝাই। কিন্তু যোগাযোগ দক্ষতা কাউকে কিছু বলার থেকে অনেক বেশি কিছু। কারো যোগাযোগ দক্ষতা ভালো হওয়ার অর্থ তার অন্যের কথা শোনার ক্ষমতা অনেক বেশি। একজন অপারেটর হিসেবে যা খুবই গুরুত্বপুর্ন। সুপারভাইজার কিংবা লাইনম্যান কি বলছে, কিভাবে কাজ করতে বলছে, কোন কোন বিষয়গুলোতে বেশি নজর দিতে বলছে তা খুব ভালোভাবে শোনাটাও যোগাযোগ দক্ষতার অন্তর্গত। কর্মক্ষেত্রে নিজের সমস্যা এবং চাহিদার কথা খুব স্পষ্ট করে বলা, কোন কাজ কঠিন মনে হলে কিংবা না পারলে তাও স্পষ্ট করে বলা, কাজের সাথে ব্যক্তিগত আবেগের সংমিশ্রণ না ঘটানো এসব কিছুই যোগাযোগ দক্ষতার উদহারন।
কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতা (Work Ethics)
যেকোন কাজে কিংবা পেশায় নৈতিকতা খুব দরকারী। অপারেটর হিসেবে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা, অন্য অপারেটরদের তার কাজে সাহায্য করা, নিজের কাছে কাজের ক্ষেত্রে সৎ থাকা এসবই কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতার নির্দেশক। কাজে ফাকি না দেয়া, সময়ের কাজ সময়ে করা, আগের অপারেটরের কাছ থেকে খারাপ বা ত্রুটিপুর্ন মাল গ্রহণ না করা, সময়মতো লাইনম্যান বা সুপারভাইজারকে সমস্যার কথা বলা এসব কিছু অপারেটরের নৈতিকতা প্রকাশ করে।
সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা (Time Management)
সময় ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র সময়ের সাথে সম্পর্কিত নয়। সময়মতো কারখানায় আসা এবং সময়ের কাজ সময়ের করার বাইরেও এর ব্যাপ্তি। পরিকল্পনা প্রনয়ন, কোন কাজ আগে করতে হবে কোন কাজ পরে, গুরুত্বপুর্ন কাজ চিহ্নিতকরন, লক্ষ্য নির্ধারনের মাধ্যমের সময়ের মধ্যে শিপমেন্টে সাহায্য করা এসবই সময় ব্যবস্থাপনার অংশ। একজন অপারেটর তার কাজের মাধ্যমে এসব নিশ্চিত করলেই কোম্পানি তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছুতে পারে।
দল হিসেবে কাজ করা (Teamwork)
দল হিসেবে কাজ করলে অনেক কঠিন কাজও সহজ মনে হয়। অপারেটরদের দল হিসেবে কাজ করার বিকল্প নাই। পারস্পরিক বিশ্বাস, একে অন্যের প্রতি সহনশীলতা এবং নিজের কাজের প্রতি সচেতনতা দল হিসেবে হিসেবে আমাদের সমৃদ্ধ করে। একটা পণ্যের উৎপাদনের জন্য যতগুলো অপারেশন প্রয়োজন তার সব ঠিকঠাক মতো না হলে সে পণ্য রিজেক্ট হয়ে যায়, এর অর্থ দলবদ্ধভাবে কাজে মাধ্যমেই পণ্যের গুনগত মান বজায় রাখা যায়।
নমনীয়তা (Flexibility)
কাজের ক্ষেত্রে নমনীয়তার অর্থ হলো যেকোন নতুন পরিস্থিতি কিংবা লক্ষ্য তৈরি হওয়ার সাথে সাথে তার সাথে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেয়ার সক্ষমতা। একজন অপারেটরের নমনীয়তা গুন থাকার মানে হচ্ছে যেকোন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দ্রুত সফলতা লাভ করা। নতুনকে গ্রহনের মানসিকতা, কাজের ক্ষেত্রে নতুন নতুন টেকনিক শিখা, যেকোন পরিস্থিতিতে আশাবাদী থাকা এবং দলের সবার সাথে সুসম্পর্ক রাখার মাধ্যমে অপারেটরগন তাদের নমনীয়তা গুন বাড়াতে পারেন।